হতাশা নামক ছুরি দিয়ে তোমার মনের ভালোগুলোকে মেরে ফেলোনা।। শায়েখ ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী।

আমাদের শায়খ ডঃ বাকর আবু যায়েদ ছিলেন সাঊদী আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের একজন নামকরা সদস্য। তাঁকে ভালোবাসতে মন কোন দিন ব্যকুল না হয়ে পারেনি। যাদের পাশে যেয়ে সাহাবী চরিত্রের খানিকটা হলেও উপলব্ধি করতে পেরেছি, তার মধ্যে তিনি অন্যতম।

তিনি ছিলেন সু সাহিত্যিক, এবং যে সব শুয়ুখ ইসলামের সামগ্রিক বিষয়কে মানুষের সামনে হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম।

সাঊদী উলামায়ে কিরামের মধ্যে শায়খ ইবন বায, মুহাম্মাদ সালিহ আল উসায়মীন এবং বাকর আবু যায়েদ রাহিমাহুমুল্লাহ আজমাঈন ছিলেন অন্যান্য সকল আলিমগণের মধ্য থেকে খুব ই ব্যতিক্রমী।

ডঃ বাকর অনেকগুলো বই লিখেছেন। তবে তার “হিরাসাতুল ফাদীলাহ” বই টা বার বার পড়েছি “পীস টিভি বাংলা” তে “ইসলাম ও নারী” বিষয়ে আলোচনা তৈরি করার সময়।

এই বই থেকে একটা কোটেশান আমি আমার ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলাম, তিনি বলছেনঃ

” এই দ্বীনের জ্বাজ্যল্যমান নিদর্শন ও ফরজ বিষয় সমূহ মিটিয়ে ফেলার খেলায় যারা খেলোয়াড় হয়েছে, আবু জাহাল থেকে আতাতূর্ক পর্যন্ত সবাই কিন্তু হেরেছেে। তবে আমরা একটু তাড়াতাহুড়ো করি বলে বুঝিনা……

” মনে রেখো, ইসলাম কিন্তু মরবেনা। তবে ইসলাম বিভিন্ন কষ্টময় বিভিষীকার মধ্য দিয়ে মাঝে মাঝে যায়। এতে করে ইসলামের ব্যাপারে সত্যবাদীদের যাচাই বাছাই হয়, এবং হতাশ ও হীনমন্যতার গর্তে তড়পানো মানসিক রোগীদের চিনে নেয়া যায়। সবর করো, শক্ত হয়ে আত্ম সমালোচনায় নিরত থাকো। মনে রেখ, তুমি বেলালের চেয়ে ভালো নও, সুমাইয়্যার চেয়েও উন্নত নও………

“মনে রেখো তোমার উপর দিয়ে খুব অসার সময় চলে যাচ্ছে, দ্বীন সামলে সামনে চলতে যেয়ে মনে হচ্ছে হাতের তালুতে জ্বলন্ত অঙ্গার বয়ে নেয়ার মত কঠিন। মুসলিমদের অবস্থা দেখে তোমার হৃদয় ভাঙবে, তাদের দৃশ্য দেখে তোমার কষ্ট হবে…… মনে রেখো এই অনুভূতি এমন যা আল্লাহ অনেক পছন্দ করেন। তোমার হৃদয়ে যে ভালোরা বাসা বেঁধেছে তার প্রমান এই মানসিক বেদনা। কাজেই হতাশা নামক ছুরি দিয়ে তাকে মেরে ফেলোনা………

” ভাই, হক্বের পথে চলা লোক সংখ্যা কম দেখে ধোঁকায় পড়ে যেয়োনা। আর বাতিলের পথে শেষ হয়ে যাওয়া মানুষের মিছিল দেখে ঘাবড়ে যেয়োনা। তুমি একা হয়েও হতে পার বিরাট একটা দল, কারণ ইবরাহীম একাই এক জাতি হিসেবে গণ্য হতেন। তুমি একা হলেও মনে রেখো এই ধরণের একাদের জন্যই রয়েছে সুসংবাদ, রয়েছে জান্নাত………

“মনে রেখে হক্বের কাফিলা থেকে তুমি বের হয়ে গেলে তোমার একারই ক্ষতি হয়ে যায়, অন্য কারো নয়। আর ঐ সাথীদের সাথে থাকতে পারাটাই হলো তোমার উপরে আল্লাহর দেয়া অনেক বড় দান এবং বড় একটা নিআমত। সেখান থেকে বেরিয়ে গেলে যুগের এই মিছিলে ও নতুনের স্রোতে এগিয়ে যেতে ক্ষতিগ্রস্তই হবে………

” মনে রেখো, আসমানের শরীয়াত চলমান, তা কোন হীনমন্যের ব্যাধিতে তড়পানো মানুষের নাম শুনে ভ্রুক্ষেপ করেনা। মনে রেখ কত নাম উপরে ওঠে, কত নাম ঝরে পড়ে। “যদি তোমারা মুখ ফিরিয়ে নাও, আল্লাহ তাহলে তোমাদের ছাড়াই এমন এক জাতিকে উত্থিত করবেন, যারা এরপর তোমাদের মত হবে না। (আলকুরআন)……………

হতাশা নামক ছুরি দিয়ে তোমার মনের ভালোগুলোকে মেরে ফেলোনা।। শায়েখ ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী।

About The Author
-

You may use these HTML tags and attributes: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>