জিনের আছর বাংলাদেশে খুব বেশি। প্রায় প্রতিটা বাসায় একটা করে জিন ধরবেই। এই রকম জিনের উৎপাত আর কোন দেশে আমি দেখিনি। ছোটবেলায় আমি আমার দাদা হাফিজ সুলতান আহমাদের সাথে কিছুদিন সময় দিয়েছি। আমার উস্তায মাওলানা নিসার উদ্দীন সাহেবেরও সান্নিধ্যে এই জিনবিষয়ক ব্যাপারগুলো জানার চেষ্টা করেছি। পরে ডঃ আবূ আমিনা বিলাল ফিলিপ্স এর সাথে সবিস্তারে আলাপ হয়, তিনি জিনের উপর পি.এইচ.ডি নিয়েছেন। এমনকি বাংলদেশে তার এই ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞতাও আছে।
এখনো আমার কাছে প্রতিটা মাসে কম করে হলেও তিনটা করে রোগী আসে যারা তথাকথিত জিনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ। যারা ৯৯.৯৯%বাংলাদেশি। বিশেষ করে এক নওমুসলিম দুই সপ্তাহ আগে এসে মসজিদে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো। বললো, ইমাম! আমাকে জিনে ধরেছে। তাকে নিয়ে রূমে এসে জিনের সাথে কথা বললাম, দেখলাম সেখানেও বাংলাদেশি জিন।
আসলে জিন একটা জাতি, তাদের যথেষ্ট কাজ-বাজ আছে বলে আমার ধারণা। তাদের আবাসস্থল আমাদের আশেপাশে হলেও তাদের মধ্যে যথেষ্ঠ ভালো জিন আছেন। খারাপও তাদের আছে; কিন্তু খারাপ কাজগুলো ওরা মানুষের সাথে করবে এর কোন যৌক্তিক কারণ আমার কাছে ধরা পড়ে না।
যারা খারাপ হয়েছে তাদের অনেকেই ইবলিসের সাথে মিশে যায় এবং খান্নাস নাম ধারণ করে। মানুষের মধ্যেও কিছু এমনই আছে, তাদেরও খান্নাস বলে।
এরা শুধু মানুষের না সৃষ্টির অনেক কিছুর ক্ষতি করে। মানুষের যেসব ক্ষতি তারা করে তা ক্ষেত্রবিশেষে খুব মারাত্মক হয়ে যায়। তবে জীবন হরণ, জীবন দান, রিযকের ক্ষতি, সন্তানের ক্ষতি ইত্যাদিতে তাদের ক্ষমতা নেই। আল্লাহ তাআলার উপরে কোন জিনের বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই।
জিন এমনকি মানুষের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কিছু আমল আছে, যা করলে কোন জিন ও বদলোকের আছর শরীরে আসতে পারে না।
হিসনুল মুসলিমের লেখক কাহতানী রুক্বয়ার উপর একটা বই লিখেছেন, এটাতে জিন ও দুষ্টদের প্রভাব থেকে বাঁচার বেশ কিছু উপায় বলে দিয়েছেন।