আমার সেরা কিছু দুয়া আছে। যেগুলো পড়ি আর অনেক কান্নার সাথে আল্লাহর কাছে ভিখ মাগি, ও আল্লাহ কবুল করো। সেই দুয়ার একটা হলো, “ও আল্লাহ ‘শাতাতুল আমর’ থেকে আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি”। শাতাতুল আমর মানে হলো নানামুখী কাজ। মানে একজন মানুষ যে কোন একটা কাজে ফোকাসড না হয়ে ও কনসেন্ট্রেইট না করে নানামুখী কাজে জড়িয়ে পড়ে। এটা না করে বরং তার উচিৎ একমুখী হয়ে কোন একটা কাজে সার্থক ভাবে পরিপূর্ণকতা লাভ করে, পারলে অন্য গুলোতে হাত দেয়া।
এই দুয়াটা সায়্যিদুনা আলী (রা) পড়তেন। তিনি এই দুয়াটা আরাফার দিন পড়তেন। তিনি বলেছেন আরাফার দিন আমাদের নবী (সা) যে দুয়াটি বেশি বেশি পড়েছেন তার মধ্যে এটি একটি। এই হাদীসখানা ইমাম তিরমিযি (৩৫২০), ইবন খুযায়মাহ (৪/২৬৪) ইবন আবি শায়বাহ, ও বায়হাক্বী সহ অনেক মুহাদ্দিস বর্ণনা করেছেন। বায়হাক্বীর রিওয়ায়াতে যদিও হাদীসটি মূসা ইবন আব্দুল্লাহের মত দাঈফ রাওয়ী থাকায় দাঈফ হিসেবে ধর্তব্য, তথাপিও ইমাম ইবন হাজার এই দুয়াটাকে অন্যন্য রেওয়ায়াতের কারণে গ্রহন করেছেন। (আলফুতুহাত আর রাব্বানিয়্যাহ, ৫/২৪৯)।
বেশ কিছু হাদীস গ্রন্থে এই দুয়াটা আসা এবং সালাফে সালেহীনের দুয়াতে তার উল্লেখ থাকায় বুঝা যায় এ কথার মর্ম আসলে খুবই গভীর।
মূলতঃ ঈমানের চৌহদ্দিতে একজন ব্যক্তিকে ‘মুসলিম’ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হতে হয়। ঈমান হলো বিশ্বাসের নাম, ইসলাম সেই বিশ্বাসকে ইবাদাতের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার নাম। এরপরে যে বিষয়ে তাকে কাজ করতে হয় তার নাম হলো ‘ইহসান’। ইসলামে ইহসানের আছে দুইটা ধারাঃ প্রথম ধারাটা আমাদের নবী (সা) বলে গেছেন,
أن تعبد الله كأنك تراه، فإن لم تكن تراه فإنه يراك.
অর্থাৎ তুমি এমনভাবে ইবাদাত করো যেন তুমি আল্লাহকে দেখছো, যদি না দেখতে পাচ্ছো মনে করো তা হলে মনে করে তিনি তোমাকে দেখছেন।
তুমি এমন ভাবে এবং এমন মানসিকতায় আল্লাহর ইবাদাত ও তাঁর বন্দেগী করবে; এমন চিন্তা ও চৈতন্য ঋদ্ধ হয়ে আল্লাহর কোন আদেশ ও নিষেধের ক্ষেত্রে নিজের অস্তিত্বের জানান দেবে; এমন ভাবে সালাত আদায় করবে; যাকাতের সামগ্রী নিয়ে অনাহারী বা ক্ষুধিতের হাতে পৌঁছে দিতে নিজকে সাধারণের কাছে এমন ভাবে হাজির করবে; সিয়াম সাধনায় ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিয়ে দিদারের লোভে এমন ভাবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে; হাজ্জে যেয়ে আরাফাতে মাথায় ধুলোর মলিনতা নিয়ে, দৃষ্টিতে পানির সয়লাব নিয়ে, হৃদয়ে প্রেমের ফল্গু নিয়ে এমন ভাবে হাত উঁচিয়ে কাঁদবে- যেন প্রতিটা মূহুর্তে তুমি আল্লাহকে দেখছো। যদি অমন করে আল্লাহকে দেখবে মনে না হয় তাহলে বিশ্বাস করবে যে, তোমার প্রতিটি আনাগোনা, আন্দোলন, প্রতিটি অঙ্গের কাজকাম ও অন্তরের স্মরণ বিস্মরণ সবই আল্লাহ অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে দেখছেন। এইভাবে মানুষ তার দৈনন্দিন কাজ চালায়ে দিলে সে মানব সত্তার সেরা আসন “মুহসিন” এ উন্নিত হতে পারবে।
ইসলামে ইহসানের আরেক ধারা আছে। তা হলো অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কোন কাজ করা। কোন কাজ করলে যেন আল্লাহ খুশি হন এমন সুন্দর ভাবে করা। তা দেখে ফিরিস্তারাও যেন খুশি হয়ে নিজদেরকে আদমের তুলনায় অভাজন মনে করে। এমন কাজ যা রসূল (সা) দেখে বিস্ময়ে এগিয়ে এসে কাওসারের পানি মুখে তুলে দেয়। এমন ভাবে কাজ করবে যা দেখলে মুমিনরা বলবে ও আল্লাহ, আমি কেন আমার ঐ ভায়ের মত হতে পারিনা? আমার গিবতাহ আসে ঈর্ষা হয় ঐ ব্যক্তিকে দেখে।
আল্লাহ তাআলা তাই আমাদের বলেন,
وَقُلِ اعْمَلُوا فَسَيَرَى اللَّـهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ وَالْمُؤْمِنُونَ ۖ وَسَتُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
হে রসূল, তুমি বলে দাও, তোমরা আমল করে যাও, খুব শীঘ্র আল্লাহ তোমাদের কাজ দেখবেন এবং দেখবেন রসূল ও মুসলমানগণ। তাছাড়া তোমরা শীঘ্রই প্রত্যাবর্তিত হবে তাঁর সান্নিধ্যে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়ে অবগত। তারপর তিনি জানিয়ে দেবেন তোমাদেরকে যা করতে। (তাওবাহ, ১০৫)
তাই মুসলিমরা যা করবে তা হবে দক্ষতায় সমৃদ্ধ, দুনিয়ার সেরা, সে সব দেখে পৃথিবী তাকিয়ে থাকে সবিস্ময়ে। আমাদের নবী (সা) বলেছেন,
إن الله يحب إذا عمل أحدكم عملا أن يتقنه
অর্থাৎ আল্লাহ ভালোবাসেন যে তোমরা যখন কোন কাজ করবে তা বড় দক্ষতার সাথে সম্পাদন করবে। (তাবরানী ও আবূ ইয়’লা, আয়িশা (রা) থেকে)।
দক্ষতার সাথে কাজ করা ছিলো মুসলিমদের এক অনবদ্য কোয়ালিটি। এদের কোয়ালিটির ধরণটাই ছিলো সব চেয়ে সেরা। এরা ঘর বানালে তাজমহল হয়, মসজিদ বানালে কর্ডোভা হয়ে যায়, পাহাড় কাটলে নাহরে যুবায়দাহ হয়ে স্রোত বয়ে যায়, সাহিত্য বানালে হয় মুতানব্বীর মত বিশ্বসেরা, গল্প লিখলে হয় হায়াতুল হাইওয়ান, আর মেডিসিনের বই লিখলে বেরিয়ে আসে ‘ক্বানুন ফিত তিব্ব’। সারা দুনিয়ার জীবিত ভাষায় সে সবের অনুবাদ করার হিড়িক পড়ে যায়।
এই দুয়াটা আমাদের নবী আমাদের শিখিয়ে গেছেন, সালাফগণ বুঝিয়ে গেছেন যে তুমি ফোকাসড হও, লক্ষবস্তু অর্জনে একাগ্র হও। “জ্যাক অফ অল ট্রেইডস মাস্টার অফ নান”। সব কিছু শিখতে যেয়ে, সব কিছু বুঝতে যেয়ে, সব কিছু জানতে যেয়ে, আর সব কিছু করতে যেয়ে হয়ে পড়ছো অপদার্থ। যা ই করো তা হয় নাক সুড় সুড় করা সর্দির মত। ডাস্ট বিনে তা ফেলায়ে দিতে পারলেই যেন ভালো লাগে।
ইমাম আবূ হানিফা যখন ফিক্বহের সংকলন করেছেন তা এমন পর্যায়ে উন্নিত করে গেছেন যা দেখে ফক্বীহগণ বলতে বাধ্য হন, মানুষ আবু হানিফার ফিক্বহের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি মুহাদ্দিস ছিলেন না, মুফাসসিরিন হিসেবেও নিজকে প্রতিষ্ঠা করেননি। ইমাম শাফেঈ ফিক্বহের অর্গল ভেঙে ইমাম মালেকের হাদীস ভিত্তিক ফিক্বহ ও ইমাম আবু হানীফার উসূল ভিত্তিক ইজতিহাদের দরোযা খুলে এক নতুন ভূবন আবিষ্কার করেন। কিতাবুল উম্ম তাই হয়ে যায় এক সুন্দরতম কানন যেখানে আক্বলের সীমানায় হাদীসেরা দল বেঁধে পাহারা দিতো। বার বার তাই তার ইজতিহাদ পরিবর্তন হতো, আর তিনি হেসে হেসে নবী্র (সা) হাদীসের সামনে সংকুচিত ও ম্রিয়মান হতেন। ইমাম আহমাদ হলেন অন্য দিকে ফোকাসড। তিনি বললেন, কিসের ইজতিহাদ বা কিয়াস, হাদীস যদি দাঈফ ও হয় তার উপর আমি আমল করবো তবু ইজতিহাদ ও কিয়াসে তাড়াতাড়ি যাবোনা। হাঁ, ইজতিহাদ যখন করবো তা হবে হাদীসের সুরে বাঁধা, কুরআনের রস দ্বারা সিঞ্চিত।
ইমাম বুখারী এলেন। স্বপ্ন দিয়ে জীবন সাজালেন। দেখলেন নবীর(সা) নামে অনেক মিথ্যা আজগুবি কথা বাজারে ছড়ানো হচ্ছে। ছয় লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করে তা থেকে বাছাই করে শুদ্ধ হাদীসের সংকলন করলেন ষোল বছর ধরে। তাবারীরা এলেন। সনদ ভিত্তিক জ্ঞান গবেষণার যুগ সূচনা করলেন। মুহাদ্দিসগণ যেমন সনদের সিঁড়ি দিয়ে হাদীস বিচার করলেন। তাফসীর ও ইতিহাসের ক্ষেত্রেও তারা তাই করলেন।
ইতিহাসে ফোকাসড হয়ে তাবারি, মাসঊদী ইবনে কাসীররা এলেন। ইবনে কাসীর ছিলেন বিশ্বকোষ ধর্মী এক ইমামের শাগরিদ। তার শায়খের নাম ছিলো ইমাম ইবনে তাইয়মিয়্যাহ। ইসলামি জ্ঞান সনদি জ্ঞানের যুপকাষ্ঠ থেকে বের করে “গারবালাহ” বা ছাঁকুনি বিজ্ঞানের জন্ম দিলেন। সনদ হলেই সুদ্ধ নয়, শুদ্ধ সনদ হলেও তা ধর্তব্য এমন নয়। মুক্ত বুদ্ধিও ইসলামি জ্ঞান নয়। অহিকে সামনে নিয়ে ইসলামি জ্ঞান গবেষণার নতুন আকর তৈরির যুগ আসলো। এইভাবে মুসলিমদের এক এক যুগ যেন এক এক জ্ঞানের সাগর পেয়ে ধন্য হলো। সেই সব সাগরের রঙ যেমন আলাদা, পানির স্বাদ তেমন আলাদা, প্রবাহের গতিও তেমন আলাদা।
আমি চিন্তার ক্ষেত্রে এই যে “লক্ষ্য নির্ধারণ” ও তার পানেই ছোটার অভীপ্সাকে নবুওয়াতী চিন্তার মেথড মনে করি। তিনি আবু বকর (রা) কে আবু হুরায়রার মত জ্ঞান সংগ্রাহক বানানোর চেষ্টা করেননি। ইবনে উমার ও উবায় ইবন কাআবকে এক করেননি। ইবনে আব্বাসকে তারজুমানুল কুরআন যেমন করেছেন, ইবন মাসঊদের তেমন আহলুল কুরআন ওয়াল ফিক্বহ করেছেন। উসমান গনীকে আর খালিদ বিন ওয়ালিদ কে একই উপাধিতে ভূষিত করেন নি।
রিদওয়ানুল্লাহি আলাইহিম আজমাঈন। একেক জনকে একেক রঙ ও সুবাস দিয়ে জগতের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন। “হার গুলেরা রংগ ও বুয়ে দিগারাস্ত” প্রতিটা ফুল হলো রঙ ও সুবাসে আলাদা। কারণ তারা ছিলেন স্ব স্ব ফোকাসড এরিয়া তে বিশ্বের তাক লাগানো মডেল।
আজ আমরা একজনেই সব কিছু হতে চাই। ডাক্তার যে, সে আবার মুফতি হতে চেষ্টা করি। মুফতি যে, সে আবার না জানা বিজ্ঞানের কথা গরুর মত জাবর কেটে প্রাণীত্বের পরিচয় দেই। ব্যবসায়ী সাহেবের হঠাৎ খায়েশ হয় তাসাউফের যোগী হবেন। মুহাদ্দিস সাহেবের প্রচন্ড বাসনা আসে ভালো ফিলসোফার ও হবেন। ফলে উম্মাতের মধ্যে সেই তাখাসসুসি বা বিশেষজ্ঞ আলিমের আকাল শুরু হয়েছে। আলী (রা) এই দুয়াটা তাই আমাদের আসল পথ বলে দেয়।
ইসলাম আমাদের ইবাদাতগুলোর সাথে সময়কে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিয়েছে। মাসে মাসে নানা ধরণের ইবাদাত দিয়ে জীবনকে ব্যাপ্ত ও ব্যাস্ত করে দিয়েছে। বৈশ্বিক ক্ষেত্রে ইবাদাত গুলোকে সুপরিচিত করতে যেয়ে একাগ্র হবার জন্য বিভিন্ন সূত্র ইসলাম আমাদের দান করেছে। কিবলা তৈরি করেছে, মাশাইর বা শাআইর নির্ধারণ করেছে, মাসজিদ বা মুসাল্লা, মাদ্রাসা বা জামিয়া (বিশ্ববিদ্যালয়) ভিত্তিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন চালাবার ক্ষেত্র বানায়ে দিয়েছে। এই সব কিছুতে মুসলমিরা যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে একতাবদ্ধতা ভাবে এক আল্লাহর দাসত্ব মেনে চলে তার জন্য নানা ব্যবস্থা দিয়েছে।
তোমার ফোকাস হলো জান্নাত, তোমার উদ্দেশ্য হলো বন্দেগী, তোমার পথা চলা হলো আল্লাহর রিযামন্দী হাসিলের একান্ত উদ্দেশ্য। লক্ষ্য পানে ধাবমান হও একাগ্রচিত্তে, ইবাদাতে মশগুল হও ইখলাস ও ঐক্যের ভিত্তিতে। কারণ “ইয়াদুল্লাহি আলাল জামাআত” একত্রিত মুসলিম জীবনেই আল্লাহর হাত, তাঁর সন্তুষ্টি, রহমাত, শক্তি এবং তাঁর পথে চলার রাহনুমা।
কোন কাজ যখন ধরেন ফীজিবিলিটি স্টাডী করুন, ইস্তিখারা করুন, পরামর্শ করুন এবং তাওয়াক্কুল করুন। লেগে থাকুন, সাফল্য কদম চুমবে। যদি দেখেন সামনে বাঁধা, স্রোতের মত পথ রচনা করে আরেক ধারায় প্রবাহিত হন। ঐটা নিয়ে থাকেন। সাধনা থাকলে সফল হবেন। আমাদের নবী (সা) এর কাছে এক ব্যক্তি এসে খুব আকুল হয়ে দাবী করলেন।ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাকে এমন একটা জিনিষ শেখায়ে দেন, যা আপনার পরে আর কারো কাছে জেনে নিতে না হয়। তিনি বললেন, “ক্বুল আমানতু বিল্লাহ, সুম্মাসতাক্বিম”। বলো, আমি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। এর পর ঐ ঈমানের উপর সুদৃঢ় থাকো। এই সুদৃঢ়তা হলো ঈমানী যিন্দেগীর সফলতার মাপকাঠি।
আপনি রাজনীতিতে ভালো হলে লেগে থাকেন ঐখানে। প্রকাশনা জগতে ভালো হলে লেগে যান ঐ পথে। জগতের সেরা প্রকাশনীও যেন আপনার দিকে তাকিয়ে নেয়ার কিছু পায়। আপনি শিক্ষক, তা হলে আবার মিছিলে এসে মাসল প্রদর্শন কেন? জগতকে আপনার শিক্ষকতা দিয়ে গাযযালীয় প্রণোদনা আনুন। আপনি গবেষক, তাহলে স্টেজে স্টেজে যেয়ে সময় নষ্ট করে মাথা নষ্ট করছেন কেন। আমার মনে হয় উম্মাতের এখন শাতাতুল উমূর বেশি হয়ে গেছে। ফলে এই উম্মাহ অবদানের বিচারে হাত পাতা জাতি হয়ে গেলো।
সায়্যিদুনা আলীর (রা) এই দুয়া তা ই আমাকে ঋদ্ধ করে, আল্লাহর কাছে মিনতি করতে বাধ্য করে।
اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَسْوَاسِ الصَّدْرِ، وَمِنْ شَتَاتِ الأَمْرِ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিকা মিন ওসওয়াসিস সাদর, ওয়া মিন শাতাতিল আমর, ওয়া মিন আযাবিল ক্বাবর।
আল্লাহ, আমি তোমার কাছে অন্তরের কূমন্ত্রণা থেকে, নিজ কাজে বিভিন্নমুখীতা থেকে এবং ক্ববরের আযাব থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।