ইসলাম মানা, প্রচার করা ও প্রতিষ্ঠা করা
<><><><><><><><><><><><><><>
ইসলামকে আল্লাহ আদম থেকে শুরু করে ক্বিয়ামতের ঠিক আগ দিয়ে ঈসা আলাইহিমুসসালাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। তবে ঈসা (আ) এর জন্য সবচেয়ে আরামের বিষয় হবে এই দ্বীন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সা) এর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। এটা মেনে চলায় যে আল্লাহর নিয়ামত ভরে যায় তার পৃথিবীতে বারবার দেখানো গেছে। এবং এই ইসলামেই যে আল্লাহ একমাত্র রাজী তা শতবার,হাজার বার, লক্ষবার প্রমানিত হয়েছে। কাজেই ঈসা (আ) ইসলাম মানতে, প্রচার করতে, প্রসার ঘটাতে, কিংবা প্রতিষ্ঠিত করতে ভয় পাবেন না, বেগ পাবেন না। বরং তার মাধ্যমে ধরণী এমন হবে, যেন সবাই জান্নাতি আবহে বসবাস করছেন।
আমাদের কষ্টটা একটু বেশি। নবী মুহাম্মাদের (সা) যুগে আমরা না আসতে পারায় আমাদের রৌল মডেল খুঁজতে হয়। আবার ঈসার (আ) এর যুগ এখনো না আসায় আমাদের নবীগণের (আ) ওয়ারিসের ভূমিকা পালন করতে হয়। ব্যাপারটা কঠিন হলেও আমাদের নবী (সা) আমাদের সুন্দর একটা সুসংবাদ দিয়ে গেছেন।
উতবাহ ইবন গাযওয়ান বলেন, মহানবী (সা) বলেছেনঃ তোমাদের পরে আসতেছে সবর ধরার দিন। সে সময় দ্বীনের উপর টিকে থাকা ব্যাক্তি তোমাদের পঞ্চাশ জনের আমলের সমান সওয়াব পাবে। সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, তাদের পঞ্চাশ জনের আমলের সমান একজনে সওয়াব পাবে? তিনি বললেন, না বরং তোমাদের পঞ্চাশ জনের আমলের সমান সওয়াব সেই সময়ের একজন পাবে। হাদীস টা আমাদের শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী সাহীহ বলেছেন।
এই হাদীসটা পড়ার পর থেকে আমি দ্বীনের জন্য নিজকে বিলিয়ে দেয়ার অপ্রতিরোধ্য প্রেরণা পাই।
দ্বীন মেনে চলতে আমার ভীষণ আনন্দ লাগে। আহ, ছোট মানুষ আমি, ঈমানে কত দূর্বল। যাই একটু আমল করছি, তা আল্লাহ দয়া করে, মায়া করে, নিজের কৃপা দিয়ে আমার আমলগুলোকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিদিন। আমার অপবিত্র মুখ থেকে বের হওয়া আল্লাহর বাণী বের হবার সাথে সাথে আল্লাহ তা দাওয়াতে দ্বীনের সেরা যুগের মানুষের মত সোয়াবে ভারী করে দিচ্ছেন। দ্বীনের প্রসারে এক কদম সামনে গেলে আল্লাহর নূর, রহমাত ও বরকত এসে জীবনকে ভরিয়ে দিচ্ছে। আর এই দ্বীনের প্রতিষ্ঠার পথে কাজ করতে যেয়ে আল্লাহ আমাকে মুত্তাকীনদের ইমাম বানিয়ে দিচ্ছেন; সিদ্দীকীন, শুহাদা ও সালেহীন দের কাতারে যাবার পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন।
এইভাবে কাজ করতে করতে যখন মুখ আমার বোবা হয়ে আসবে, চোখে নেমে আসবে সায়াহ্নের কালিমা, হৃদয় তন্ত্রী ছিড়ে ছিড়ে যাবে, পা গুলো ঠান্ডা হয়ে রূহকে হুলকুমের কাছে ঠেলে দেবে। যখন সাত সাগরের পানি সাবাড় করার মত পিপাসায় ছটছট করবে আমার বুক। পা আমার একটার সাথে আরেকটা পেঁচিয়ে যাবে। আমার পাশে বসা আমার আত্মীয়রা অথবা অচেনা মানুষেরা আমার কোটারগত চোখের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলবে, ঠিক সেই সময় হয়ত একটা আওয়াজ আমি শুনতে পাবোঃ ইয়া আয়্যাতুহান্নাফস আলমুতমাইন্নাহ……… ও প্রশান্ত আত্মা, ফিরে আসো তোমার রব্বের কাছে, তুমি যেমন আজ সন্তুষ্ট, তোমার উপরেও সন্তষ্ট সবাই। আমার সেরা বান্দাদের কাতারে তুমি ঢুকে পড়, আর তুমি ঢুকে পড় জান্নাতে………
ও আল্লাহ, হিদায়াত তুমি মায়া করে দিয়েছো যখন, মন টাকে আর বাঁকা করে দিয়োনা, তোমার কাছ থেকে খাস রহমাত তুমি আমাকে দান করো, তুমি তো সবচেয়ে সেরা দানশীল……..